শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
বিডিনিউজ : কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগেও একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে গত মে মাসের শেষ দিকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার বন্ধ করার সপ্তাহখানেক পরে আবার তা চালু করেছিল সংস্থাটি।
হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভির/রিটোনাভির প্রয়োগে মৃত্যু ঝুঁকি না কমার কথা জানিয়ে শনিবার সেগুলো বন্ধ রাখার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন ট্রায়ালে এই ওষুধগুলো প্রয়োগে রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি কমার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো প্রভাব থাকলেও তা খুবই সামান্য।
করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় কোনো ওষুধ না থাকার কারণে বিদ্যমান নানা ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা, যার ফলে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভির, রেমডেসিভিরের।
কিন্তু গত ২৫ মে ডব্লিউএইচও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেটটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলে।
এই ওষুধ সেবনে অনেকের হৃদস্পন্দনে গুরুতর অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ-ও সতর্কবার্তা দিয়েছিল।
পরে ৪ জুন ওই সিদ্ধান্ত পাল্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছিলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহারে বাধা নেই। ডব্লিউএইচওর গবেষক দল যাচাই করে দেখেছে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবনে কোভিড-১৯ রোগীদের ঝুঁকিতে পড়ার কোনো প্রমাণ নেই।
এখন কার্যকারিতার প্রশ্নে সেই ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করা হল।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply